শফিকুল ইসলাম পাপ্পু: একজন সাংবাদিক জাতির দর্পন। একটা জাতির শিক্ষা সংস্কৃতি দর্শন এর মানদন্ড যদি বিবেচনা করতে চান তবে সেই জাতির সাংবাদিকদের দিকে তাকালেই উপযুক্ত ধারনা পাওয়া যায়।
দেশের উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা শহর লালমনিরহাটের গণমানুষের প্রতিবাদের ভাষা ছিলেন ওয়ালিউর রহমান রাজু। সাপ্তাহিক নতুন বাংলা সংবাদ পত্রের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তিনি। নীপিড়িত জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যার কলম জ্বলে উঠেছিল আগ্নেয়াস্ত্রের মত। বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশে অনেক অনেক সম্মাননা এবং সামাজিক সুনাম কুড়িয়েছিলেন এই বহুমুখি প্রতিভা।
নিজের অজস্র গুণগ্রাহী ও অনুসারীদের সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় নিয়োজিত করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। লালমনিরহাট জেলা শহরে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক রাজনেতার রক্তচক্ষুকে এড়িয়ে গেছেন অবলীলায়। লালমনিরহাট এর সিনিয়র সাংবাদিকদের নামের তালিকা নির্মাণ করলে সেখানে স্বর্ণাক্ষরে ওয়ালিউর রহমান রাজুর নাম লেখা থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।
জীবদ্দশার শেষ দিন অবধি সংবাদ, সংবাদ কর্মী এবং একজন সুনাগরিকের পরিচয় দিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গতকাল ০১ লা ডিসেম্বর তার জোলখানা রোডস্থ বাড়িতে আনুমানিক দুপুর একটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজেউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কণ্যা, পুত্র, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মীসহ অজস্র গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ তার সাংবাদিকতার পবিত্র বদ্ধভূমি লালমনিরহাট প্রেসক্লাব চত্ত্বরে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বাদ আছর তাকে শায়িত করা হয়।
তাঁর এই হঠাৎ চলে যাওয়া জেলার সংবাদ, সাংবাদিক এবং ইলেকট্রনিক্স প্রিন্ট মিডিয়া জগতে যে শুণ্যতার সৃষ্টি হল তা কখনোই পূরন হবার নয়।
লালমনিরহাট তথা উত্তর জনপদের জীবনযাত্রার দর্পন বিশিষ্ট সাংবাদিক ওয়ালিউর রহমান রাজু স্যারের প্রয়াণে লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি রইলো আমাদের গভীর সমবেদনা।
ভালো থাকবেন স্যার-
অনন্তের পথে আপনার যাত্রা হোক আরো সুখকর, আরো অর্থবহ। (RIP)
?-(শব্দশ্রমিক)
–
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, লালমনিরহাট পৌর শাখা, লালমনিরহাট।
–
(লেখাটি শফিকুল ইসলাম পাপ্পু-র ফেসবুক থেকে নেয়া)